ঝকমকে যৌবন,
উড়ু উড়ু এই মন,
সেই এলোকেশী, হলেন প্রেয়সী।
গোধূলীর সন্ধ্যায়,
দুজনে ঘুরে বেড়ায়,
হুড তুলে বেশি, ভালবাসা দেশী।
দু’জনে দু’জনার,
লুকিয়ে সময় পার,
মিলে অবশেষে, বর-কনে বেশে।
স্মৃতিগুলো বম্বশেল,
টক ঝাল কদবেল।
আয়েশে জাবর, কাটে অবসর।
ঝকমকে যৌবন,
উড়ু উড়ু এই মন,
সেই এলোকেশী, হলেন প্রেয়সী।
গোধূলীর সন্ধ্যায়,
দুজনে ঘুরে বেড়ায়,
হুড তুলে বেশি, ভালবাসা দেশী।
দু’জনে দু’জনার,
লুকিয়ে সময় পার,
মিলে অবশেষে, বর-কনে বেশে।
স্মৃতিগুলো বম্বশেল,
টক ঝাল কদবেল।
আয়েশে জাবর, কাটে অবসর।
একটু যদি হ্যাঁচ্চো করো, তুলকালাম কান্ড,
হাজির মুখোশ সাবান পানি, ঔষধেরো ভান্ড।
হরেক রকম খাদ্য খানা, কোর্মা পোলাও ক্ষীরে,
কোক সালাদের কম্বিনেশন, বুঝতে হবে ধীরে।
স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে, নিয়ম কানুন কত্তো,
সকাল সকাল উঠতে হলেও, রাত জাগাতে মত্ত।
কিনলে কিছু হতেই হবে, এক্কেবারে ফ্রেশ,
বাসায় রেখে করেন বাসি, হেসেই আমি শেষ!
পান থেকে চূণ খসলে পরে, নরক নাজিল হবে,
জিহ্বায় বিষ, হৃদয় মধু, বুঝেছি সেই কবে।
==
(২৫-আগস্ট-২০২২)
সমর্পনের ষোলকলা পূর্ণ হলে,
সমাপ্তি হলে সখা তোর গলে,
উৎকন্ঠা উঁকি দেয় যেন, এ কি ক্ষনিকের মোহ?
সারাটা সময় চিন্তার বলিরেখা,
সামান্য অবসরে যদি হও একা,
অশ্রুঝড়ে উড়ে যায় কেন, সে কি আবেগের দ্রোহ?
জীবনে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে,
চুঁইয়ে স্মৃতিকণা মধু রস নিতে,
উদাসী মন শুধু জানে, এ যে গুপ্তধন-সম লহ … …
ছোট ভগ্নাংশ মুহুর্তগুলো,
তাড়ায় স্মৃতিতে জমে থাকা ধুলো,
ফেলে আসা ক্ষণ আহা, নিশ্চিত জানো এ নয় বিরহ।
==
(১৬-জুন-২০২১)
শুকনা বালুর নদী, আসতো প্লাবন যদি,
যেতাম ভেসে স্বপ্নতরী নিয়ে;
ঝকমকে সব স্মৃতি, বাস্তবতায় মেকি,
জাগতো আবার সুখ সাগরে গিয়ে।
যুগের পরে যুগ, উন্মাদনায় সুখ,
থাকলো শুধু কল্পনারি ঘেরে;
আশায় বাধি বুক, হৃদ মাঝে ধুকপুক্,
আসলো বুঝি এবার কাছে তেড়ে।
দেড়-ব্যাটারী যন্ত্র, নষ্ট হওয়া মন্ত্র,
এই হাহাকার জীবন বুঝি শেষ;
ভীমরতি এ তন্ত্র, অতিমারি আক্রান্ত,
বাঁচতে ব্যাকুল প্রেমরোগ নিঃশেষ।
==
(১৮-মে-২০২১)
xy:
ভাল্লাগেনা, মোটেই তোর ঐ, কথার ধরণ,
বিশ্রী লাগে, হঠাৎ হঠাৎ, কথার ফোঁড়ন।
ঘুমের মাঝে, কথার তোড়ে, জাগিয়ে তোলা,
চালিয়ে এসি, রাখিস কেন, দরজা খোলা?
xx:
দাঁত মাজোনা, বকছো কেন, গন্ধ মুখে,
আয় দেখে যা, রাখছে আমায়, কেমন সুখে …
সব রেডি পাও, যখন যা চায়, মন তোরি,
বান্দি আমি? নবাবজাদা! ধ্যাত্তরি!
xy:
বুঝছি সবই, চালাস বাসায়, সোপ অপেরা,
সারাদিনেই, চলছে টিভি, ছন্ন-ছাড়া;
এসব দেখেই, কুটনামিতে, হচ্ছো সেরা,
যখন-তখন, যা খুশি তাই, করিস জেরা।
xx:
আমার খুশি, যখন যা চাই, বলবো জোরে,
তোর অনাচার, দিচ্ছি সবই, প্রকাশ করে।
চৌদ্দ পুরুষ, বংশ তোদের, যেমন তেমন,
ভাগ্য জোরে, আমায় পেলি, এইযে এমন।
xy:
জানি জানি, রাজ বংশ, তোদের সবাই,
বাদ বাকীদের, করিস তোরা, কেয়ার থোড়াই।
অহংকার ঐ, মিথ্যা সবই, চাপার জোরে,
উচ্চ সেটা, কথার ফানুস, ভূঁইয়ের ফোড়ে!
xx:
তোর ফ্যামিলি, অদ্ভুতুরে, এক সার্কাস,
চারণ ভূমি, অনাচারের, হয় চাষাবাস।
মাথায় তুলে, তৈরী করে, অসভ্য সব,
নিম্নশ্রেনীর, বস্তি যেন, খোদার গজব।
xy:
ধরছি যদি, তোর ফ্যামিলি, একটি করে,
উজবুক আর আহাম্মকে, ঘরটি ভরে!
বানালো যে, তোরি মত, একখানা পিস্
পাইলে সুযোগ, দিতাম ঝাড়ি, হাত নিশপিশ।
xx:
হতচ্ছাড়া, বুঝবি মজা, যাচ্ছি চলে,
বন্ধ খানা, খাইট্টা খা তুই, ঐ হেঁশেলে।
দেখবো মুরোদ, ম্যানেজ করিস, কেমন করে,
ছিলাম বলেই, সব রেডি পাস, হাত-পা ঝেড়ে।
::
(জীবন গেলেও, থামবে না এই, ক্যাচালগুলো,
মরলে পরেও, বলতে এসব, ঝাড়বে ধুলো …
ঝগড়াঝাটি, কপট রাগের, রাজ্য নিয়ে,
চলবে খেলা, এইতো জীবন, যাচ্ছে বয়ে।)
===
(প্রকাশ: ২২-সেপ্টেম্বর-২০২০)
অতীত আর ভবিষ্যতের দ্বন্দ্ব বিক্ষুব্ধ
ক্ষতবিক্ষত ধৈর্য্য যদি না হয় বিশুদ্ধ।
আপাত অটল গিরি, ফাঁটে প্রগাঢ় কান্নায়,
বেখেয়ালী সবে ভাবো, ছড়া ফল্গুধারায়।
প্লাবন শুকিয়ে কাদা, শুভ্র পলি নোনা,
বিস্মৃতির তীব্র জেদে, কাষ্ঠহাসি শোনা;
উদাসীন ভবলীলায়, নিষ্প্রাণ ছন্দমাত্রা,
গোপন রোদনে সিক্ত, খরায় জীবনযাত্রা।
শাঁখের করাতে বন্দী, রুধিরাক্ত হৃদে,
শান্ত অনড়ে হ্রাসে, অত্যাচারী ক্ষিদে।
দাঁতকপাটি চোয়ালে, প্রতিজ্ঞাতে দ্রোহ,
নক্ষত্রমালায় প্রেম, দূরত্বে ফেরে মোহ।
===
(২১-সেপ্টেম্বর-২০২০)
সংখ্যাগুলো গুনতে হলে, শুনতে হবে লাখে,
এমনতরো হাট বাজারে, এলাম সখার ডাকে;
ভাবছি বসে এই সুযোগে, ছড়ার ভাঁড়ার খুলে,
মধুর হাঁড়ি স্মৃতির ঝাঁপি, ছড়াক সুবাস ফুলে।
মিষ্টি কথার পরাগ নিয়ে, শতেক ভ্রমর এসে,
পরশ ছোঁয়ায় যাদুর কাঠি, উঠবে সবে হেসে।
স্নিগ্ধ আলোয় বান ভাসিয়ে, কষ্ট ক্লেদের ধোঁয়া,
শান্তি প্রলেপ দেয় ভুলিয়ে, স্বপ্ন গেলে খোয়া।
এক কোনেতে চুপটি বসে, হট্টগোলের মাঝে,
কেউ খোঁজেনা ছড়ার দোকান, বিকেল গড়ায় সাঁঝে;
ঝাঁপ গুটিয়ে যাচ্ছি চলে, আবার সকাল হলে,
নতুন আশায় ফিরবো কিগো বন্ধু হব বলে?
===
ছড়াবাজ (২৩-মে-২০২০)
আলগা রাশে বাঁধন ছাড়া,
উঠবে বেড়ে বল্গা হারা;
হঠাৎ জানি ছাড়বে এ নীড়,
ভাসবে দু-কূল স্মৃতির নদীর।
এপার থেকে দেখছি দুরে,
অনেকটা পথ যাচ্ছো ঘুরে;
এড়িয়ে এ ঘর, কীসের লাভে?
পাথর হয়ে, মনটা ভাবে।
সূর্যস্নানের যাত্রী পথিক,
হয়তো তোর এ পথটি সঠিক;
আশংকারা সবই ভ্রমে,
বুঝবো ঠিকি সময়ক্রমে।
ক্লান্ত হয়ে পড়লে কভু,
আসিস ফিরে; হয়তো প্রভু;
ঐ ওপারে ডাকবে মোরে,
প্রবল তৃষা দেখবো তোরে।
=x=x=x=x=x=x=x=x=
শুনছো খবর? ব্যাপার জবর!
আমিই নাকি ফুট্টুস!
স্বপ্ন নাকি? জানতে নিজেই,
চিমটি কাটি কুট্টুস।
উউউউফফ্
বর্ষ শুভ হতেও পারে,
শুভেচ্ছাটা পাক্কা,
ভিআইপিরা রাস্তাঘাটে,
গিট্টু মোদের চাক্কা।
তেঁতুলগুলো হাইকোর্টেতে,
হুলুস্থুল এক কাণ্ড!
হাততালি দেই, আমরা খুশি,
উল্টে রসের ভান্ড।
তিস্তা ভরে আসবে পানি,
স্বপ্ন দেখি ভাত-ঘুমে,
নতুন বছর পালন করি,
উল্লাসে তাই ধুমধামে।
===
(রচনাকাল: ১৪-এপ্রিল-২০১৭, ১লা বৈশাখ ১৪২৪)
আবেগ যদি উপচে হৃদয়, না ভিজালো কপোল-চিবুক,
কষ্ট শেলে দুমড়ে বেঁকে, ফাঁটলো যবে এই পোড়া বুক,
অনল শেষে থাকলো পড়ে, সেইতো সেথায় কনক খাঁটি,
শব্দগুলো সাজবে তখন, ফলন দেবে কবি’র মাটি।
অশ্রু-লোনা ঊষরভূমি, সবুজ ফসল হয় না কভু,
বিরান ধূ-ধূ হালচাষে হায়, কাব্য দেয়ার চেষ্টা তবু;
বৃথাই শ্রম-এ গোবর মাথায়, দুপাশ মোছা গদ্য লেখা,
ময়ূরলেজে কাক কখনো, মধুর সুরে গায় না কেকা।
কাব্যমালা মনের খোরাক, উদরপুরে ট্যাকের জোরে,
খ্যাতির খ্যাতা পুড়াও ভায়া, অজাত কবি ঘুমাক দুরে।
কাটলে পোকা জোলাপ দিয়ে, তেল পানিতে ঠান্ডা মাথা,
উত্তেজনার ক্ষণিক সামাল, ক্ষমায় বাঁচে রূদ্র ব্যাথা।
======
শব্দার্থ:
অজাত: জন্মায়নি এমন; জন্মহীন (এই অর্থে শব্দটি অজাতো উচ্চারিত হয়); হীনজাতীয়, নীচজাতীয়; জারজ (এই অর্থে শব্দটি অজাত্ উচ্চারিত হয়)। নীচ জাতি বা বংশ, অঘর, যে জাতি বা বংশের সঙ্গে সামাজিক ক্রিয়াকলাপ চলে না
অনল: আগুন
ঊষর: যে মাটিতে ভালো ফসল উত্পন্ন হয় না, অনুর্বর (ঊষর মরু); যার মাটি নোনা বা ক্ষারময়
কপোল: গণ্ড; গাল
কনক: স্বর্ণ; সোনা
কেকা: ময়ূরের ডাক
চিবুক: দুই ওষ্ঠের নিম্নদেশ; থুতনি
বিরান: জনশূণ্য; বিধ্বস্থ বা পতিত
রূদ্র: শিব; কুপিত বা ক্রুদ্ধ অবস্হায় শিবের প্রলয়মূর্তি; উগ্র, ভীষণ (রুদ্র রূপ); সংহারক (রুদ্র রোষ)
শেল: প্রাচীন অস্ত্রবিশেষ, শূল (শক্তিশেল); শেলতুল্য যন্ত্রণাদায়ক বস্তু
======