ভাত খাওয়া কঠিন যে, শুনেছো কী কান্ড!
বলেছে যেই ব্যাটা, ভাবি সে কি ভন্ড?
শুনে এই কথাখানা, গেলাম যে ধরতে,
নিতে হবে পাগলাকে, গারদেই ভরতে।
ব্যাটা বলে শোনো ভাই, রাগো কেনো না শুনে,
অধমের ঠিকুজিটা, চীনে কিবা জাপানে।
কাঠি দিয়ে খাওয়া সে যে, কত সোজা ঝটপট,
ধরে মুখে দেই ছেড়ে, খাওয়া শেষ ফটাফট।
এছাড়াও দেখো এতে, হাত ধোয়া লাগে না,
তরকারী, হলুদ তো, হাতে কোথা লাগে না।
তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়ে, কাজে ধরি গিয়ে ভাই,
সাবান বা পানি হোক, সাশ্রয় সবই তাই।
আর দেখো হাত দিয়ে, কত বড় লড়াই এ,
চার আঙুল একসাথে, চেটোটাকে বাঁকিয়ে,
তারপর করে বাঁকা, ভাতটাকে তুলছো,
মুখ পরে নিয়ে গিয়ে, থাম্ব দিয়ে ঠেলছো।
মোট মাট চার স্টেপে, টাইমিং নিখুতেই,
এটা ছাড়া মুখে ভাত, আসবেনা কিছুতেই।
তারপরে আছে এঁদো, ধোয়াধুয়ি ঝামেলা,
এ্যাতো টাইম আছে নাকি? খেটে খাওয়া কামলা।
সব শুনে মাথা নাড়ি, বেড়ে যা বলেছিস,
অভ্যাসে সহজ এই, আসলে যে কঠিনস্।
কাঠি দিয়ে খাওয়া সেতো, শিখেছি দু’ হপ্তায়,
চান্স পেলে সেটা নেই, হাত ধোয়া যে বাঁচায়।
মাথাতেই আগে কেনো, এটা কভু আসেনি,
আয়োডিন লবণেও, ঘাটতি কি কাটেনি?
তারপর ইউরেকা, পেয়েছি রে পেয়েছি,
এরকম ঘটনাই, কত ফেস করেছি।
কত সহজেই চলে, ফ্রীতে নিক্স মেশিনে,
ভাইরাস কারে কয়? গ্লানি নাই এ মনে।
তারপরো চারিদিকে, দেখছি যে এ জিনিষ,
সিকিউরিটি, শৃঙ্খলে, খিড়কিই সেরা চীজ!
===